ভারতীয় অর্থনীতিকে মজবুত করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) একের পর এক দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। ২০০০ টাকার নোট বাতিলের পর এবার ডিজিটাল কারেন্সি (Digital Currency) বা ডিজিটাল নোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঘোষণা করল। যার ফলে আগামী দিনে ভারতীয় অর্থনীতিতে লেনদেনের ব্যবস্থা আমূল বদলে যেতে পারে। এমনকি ডিজিটাল নোটের হাত ধরে ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের শীর্ষস্থানে থাকা দু তিনটি দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান।
অনেকেই হয়তো জানেন না, এদেশে ডিজিটাল নোটের প্রচলন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে সকলেই ডিজিটাল নোট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন এমনটা কিন্তু নয়। আপাতত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ডিজিটাল কারেন্সি বা ডিজিটাল নোটের মাধ্যমে লেনদেন শুরু করেছে। এতে যেমন নির্দিষ্ট কিছু সাধারণ ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে তেমনই কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ককে বেছে নেওয়া হয়েছে ডিজিটাল নোটের পাইলট প্রজেক্টের অংশ হিসেবে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ১ নভেম্বর ডিজিটাল নোট প্রথম ভারতে চালু হয়। প্রথমে হোলসেল লেভেলে ডিজিটাল নোটের ট্রায়াল শুরু করে RBI. তার একমাস পর, অর্থাৎ ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর রিটেল লেভেলেও ডিজিটাল নোটের ট্রায়াল শুরু হয়। মানে ডিজিটাল নোট প্রচলনের পাইলট প্রজেক্টৈর পরিধি আরও বাড়ায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রথম পর্যায়ে মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও ভুবনেশ্বর এই চারটি শহর পাইলট প্রজেক্টে অংশ নেয়। অপরদিকে একেবারে প্রথমে ডিজিটাল নোট প্রচলনের পাইলট প্রজেক্টে নেওয়া হয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক ও আইডিএফসি ফার্স্টকে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ভারতে ডিজিটাল নোট প্রচলনের দিকে যে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে তা বোঝা যায় তাদের পাইলট প্রজেক্টের পরিধি ক্রমশ বাড়িয়ে যাওয়ার স্ট্র্যাটেজির দিকে লক্ষ্য রেখে। প্রথমে চারটি শহরে এই পাইলট প্রজেক্ট শুরু করলেও পরবর্তীতে তার পরিধি অনেকটা বেড়েছে। আমেদাবাদ, চন্ডিগড়, গ্যাংটক, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, ইন্দোর, কোচি, লক্ষ্ণৌ, পাটনা ও সিমলা-কে পরবর্তী ধাপে ডিজিটাল নোট প্রচলনের পাইলট প্রজেক্টের অংশ করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ